Saturday, December 28, 2013

আমার কৈফিয়ত 2

আমার কৈফিয়ত  // পীযূষকান্তি বিশ্বাস

দু হাতে এত ডলেছি মাংস
দু পায়ে এত করেছি মার্চ
হিসাব মিলাতে গিয়ে দেখি, 
বে-হিসাব বাম ডান।

কি লিখব ভাষা জানিনা আর কায়দাটা ও শিখিনি
বেকায়দা ইচ্ছা টা তাই
বোঝানো মুস্কিল ।

কতদূর দিল্লি,
কেউ ডাক দিয়ে গেল সেই
চলেছি দুপায়ে নিয়ে মার্চ,
হোঁচটের পর হোঁচট
অস্ত্র ধরেছি হাতে, খেয়েছি গুলি ও,
বদহজমে দেখি
পেট গুলিয়ে যায় ।

এভাবেই খুঁজেছি ছাউনি থেকে ছাউনি
হয়রান ধুলো পথ,
রণক্ষেত্র জুড়ে আবেগী রক্ত-নদি
চেনাবের গিরিখাত ।

কখনো মাথায় ছুঁয়ে যায় রাডারের আন্টেনা
কখনো ছুঁয়ে যায় কামানের গোলা মাথার চুল
ছুঁয়ে যায় কবিতা ভাবনা ও
অসহায় পেন্সিল ।

মাঠে পড়ে ক্ষেত , সৈনিক শষ্য
মাঠে পড়ে সহস্রাধিক লাশ
মাঠ ঘুমায় বুকে শতশত ক্ষত নিয়ে
ট্রেঞ্চ ভর্তি ইতিহাস ।

উড়ছে ধুলোঝড় ট্যাক্সি ট্রাকে, রান-ওয়ে জুড়ে সাদা বক
উড়ছে সোনালি ডানার চিল , উড়ছে পত পত করে পতাকা,
জাতীয় সংগীত ।

এই বুঝি আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, রাত্রি মুছে ফেলে ঘুমের ঘাম
পাছে চার্জসীট হয়ে যায়, ভয় হয় পেট বাঁচানো দায় ।

বলিদান আমার স্বাধীনতা ,
এমন ই অদ্ভুত উদ্ভিদ প্রেম
প্রান টা বিক্রি করে হাটে 
মনুষ্য জীবন কিনে খাই ।

গুনগুনায় বারুদের ধোঁয়া, গুনগুনায় কামানের ব্যারেল
মগজে ঢুকছে গরম সীসা,মগজে পিতল বারুদ ইচ্ছা
বাবাগো গেলুম ধর না কেউ, এ আবার বিকট যে ভীমরতি
বাবাকে ধরল চেপে উত্তপ্ত যৌনতা
কফিনে শুয়েও প্রেম ।

বসেছে বাপে সিংহাসনে, কি অদ্ভুত সাপের মাথায় তাজ
বসেছে পংগপালের ভীড়ে
পন্ডিত মহারাজ ।

এমনই রক্ত হল বিষ, ভয়ংকর ইগো বইছে খাদে
এমনই আগুন ভরা মাইন
রোমকুপে বিপাশা-সিন্ধু-শতদ্রু ।

এদিকে জ্বলন্ত হেলিপ্যাড, গুজনেক, অগ্নি,  চিতা
চেতকের স্কোয়াড্রন উয়িং
কি করি আমরা একলব্যর দল ?

পেছনে গুপ্তচর পড়ে আছে,
নিন্দুকের অভাব কোথায় নাই , পাছে লোকে কিছু কয়,
তবুও
পাছায় এয়ার ট্রাফিক ওয়েল ঘসে এয়ারম্যান দৌড়ায় ।

শিরায় শিরায় ঠাসা বারুদ, আগুনের নদি চুবিয়ে সুরায়
আমৃত্যু নেশার, এ কিসের লড়াই ?

লড়াই পন্ডিতের সাথে সিপাই
নাকি
লড়াই জীবনের সাথে সৈনিক ?
নাকি
লড়াই জীবনের সাথে মৃত্যুর ?

জীবনে মাটি চেটে দেখিনি,  তার জীবনে দেশপ্রেম হল মিছে
জীবনের স্বাদ ই আলাদা, বুঝবেন হে মশাই ?
কে বোঝে মেরা দেশ মহান
বোঝা মুস্কিল রাষ্ট্র-স্বাধীনতা
কে বোঝে হিন্দু না মুসলিম ? ওরা তো সর্বহারা অভিজাত ?

এই সব ছারপোকা রাজনীতি
লুটে বাড়ে রক্তবীজের ঝাড়
আমাদের দেশপ্রেমী বিধাতা,  বটবৃক্ষ,  তরুলতা
জনতা খাবি খায় ।

চিমনি র মুখে সাইরেন শংখ
মিছিলে লুকায় সমাজতন্ত্রী মুখ
লাগা না, চিমনি র মুখে হ্যারিসন তালা ...
শালারা কজনই বা হবে ? 
কি জানি হাতে গোনা আঙ্গুল
শালারা তবুও কি ভাবে
আঙ্গুলে নাচায় ?

আমাদের মুখে কি আর ঘি সক্কর ? ভাগ না,  পায়ুর ভ্রু ।
মনে হয় কানে আঙ্গুল দি, আকাশের গায়ে ঠেকিয়ে পা
মনে হয় মুখে ঠেসে ধরে, দু ফোটা, চিরিক চিরিক দি ।

নয় সবাই হানাদার শত্রু, বড় প্রেম দেশপ্রেমে বলিদান
বড়দান পেটে পড়লে দানা
উপপাদ্যের মুল ।

ভাগে কি কম পড়ে যায় কার ,
বুকের উপরে ছাপানো মানচিত্র, এক নদি রক্ত বয়ে যায়
ভাগীরথী ভোগ্য সবার ই , কারা যে রেখা টেনে যায় ?

বেড়ে চলে যমের মত ভয়, আমার যে প্রতি ভোরে খিদে পায়
বেড়ে ভাত খাওয়ার শক্তিও নাই
আমাদের বাড়া ভাতে ছাই ।

পাহারা কাকে ? বা কার , কেন
পা হারায় দুপক্ষেরি ফৌজ
পাহাড়ের খাদে খাদে জমে, জীবাশ্ম ইতিহাস ।
শহীদের রক্ত জমে জমে
শহীদ মিনার ।

আর বলতে পারিনা ভাই
মাথার চুল ছিড়েছি খুব, আমার এই ঘিলুটাও পচে সার,
স্নায়ুতে অচেনা ভাইরাস
মাথাটার সেকেন্ডারী স্লেভে
সিডি আটকে যায় ।

কি হবে যুদ্ধে, করব না মার্চ
পরোয়াও করিনা কারো, কিছু আর
রাস্ট্র মুখে পুরীষ এক রাশ...

ভাগাড়ে থাক না পড়ে পরমবীর-চক্র টি 
থেকে থেকে ক্রিমেশন প্যারেডে
শহীদ হে অমর ?

কুড়ি বছর গারদ সময় কাল
কুড়ি এই হয়ে এল শেষ
কুড়িয়ে নেবে ইতিহাস
পসথুমাস কর্পোরাল ।

Tuesday, December 24, 2013

রাইফেল

রাইফেল

সালামী সাজে স্যালুট করলে
দিগ্বীজয়ী রাইফেল ও আকাশ দেখতে পায়,
কারাকোরামের গায়ে
শরীর এলিয়ে দিয়ে ঝুঁকে থাকে স্থির
নত মস্তক পামীর মালভুমি ।

গর্দনটা নিচে ঝুঁকিয়ে দেখলে মাটি দেখা যায়
যেখানে ঝরে পড়ছে প্রতিদিন
পরাজিত ঘাম ।

আমারও একটা শরীর আছে
এলিয়ে দিলে প্রেমিকার তুষার বুকে
সাদা চাদর বিছিয়ে দিনের শেষ আলোয়
ঘুমের দেশ অপেক্ষা করে
বরফ বিছানায় ।

ওখানে কিছু স্নোবুট
ওখানে আরো কিছু সৈনিকের পায়ের শব্দ হঠাৎ

স্যালুট !  

রক্তরঙের এক পতাকাকে সামনে রেখে 
মার্চ করে যাওয়া র‍্যাংক ও ফাইল
লেফট টার্ণ নিয়ে এসে দাঁড়ায়

তিন বার গুলিছোড়ার আওয়াজ হয়
উপত্যকা প্রতিধ্বনিত করে কারাকোরাম
সাক্ষী হয়ে থাকে ।

০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি

Friday, December 6, 2013

বিদায়ী সঙ্গীত

বিদায়ী সঙ্গীত / পীযূষকান্তি বিশ্বাস

পংক্তি যখন ত্বরণ হারায় 
নশ্বর কবি থমকে দাঁড়ায়
কমা , দাড়িতে, ক্লান্ত দু-পায়
কি আর করি তখন
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ করে মন।

জীবন ঢেলেছে ভাড় মে মরণ
হিতৈষীর বুকে রক্ত ক্ষরণ
গিটারের রণণ মিলেছে রণে
তোমার কোরাসে আমার চরন

গলা বুজে আসে বন্ধ হয় ভাষা
সুর উবে জাগে কন্ঠে পিপাসা
দুচোখে শুকায় স্বপ্ন আর আশা
শুকায় সঞ্জীবন

সংগীত যখন থমকে দাঁড়ায়,
সুর হীন সুরা দুহাত বাড়ায়
পিছন ঠেকিয়ে দেয়ালের গায়
কি আর করি তখন ?
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ করে মন।

Thursday, December 5, 2013

সিজ ফায়ার

সিজ ফায়ার 


নালিপথে প্রতিনিয়ত ঘুর্ণির,
রৌদ্রময় কোনএক যুদ্ধক্লান্ত দিনে
মেঘে ভিজে গেছে বারুদ ।

আগুনে আজ তার কোন লালসা নেই
দেশপ্রেমে নিঃশেষ
পিতল হাতে মাধুকরীতে বেরিয়েছে
ভিক্ষা পাত্রে পড়ে আছে খালি কার্তুজ
একটি দুটি ক্ষুদ্র মৃত্যু...

গৈরিক সাক্ষী এই পাহাড়ী গাঁও ,
ধবল পতাকা বিছিয়ে হিমশীতল জানুয়ারী
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে,
একই ভাবে দুধারে দুপায়
সাক্ষী কারাকোরাম ।

এর পর
পাদদেশে এক পশলা যুদ্ধ সেরে নিয়ে
সৈনিকেরা রাইফেল উল্টো করে
বাটে বাটে টুপি ঝুলিয়ে
যে যার মত ক্যাম্পে চলে যায়


বারুদ ঘোষনা করে

সিজ ফায়ার ।

১৫ নভেম্বর ২০১৩ 
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি

জলজ শ্যাওলা


জলজ শ্যাওলা

বুকেরই উপর এফোঁড়-ওফোঁড়
এক বিঘত জমি
গাড়া আছে এক বাঁও বাঁশ
উড়ছে জাতীয় পতাকা

ভু-ফোঁড়ে জনকের
প্রতিনিয়ত এই রকম শহীদ প্রসব

হা ঈশ্বর,
কে নিয়ে আসে এদের সংগ্রামী মৃত্যু ?

এ মাটি নয়তো প্রেম
এ পতাকা নয়তো কোন স্বাধীনতা
এ কোন ঘরের নিরাপত্তা বা রুটির কোন অভিযান
দারুচিনি দ্বীপের খোঁজে রণতরী যাত্রা ।

কোন এক ঘন কুজ্ঝটিকায়
যেন হঠাৎই আবিষ্কার করি আমাকে
আমার শরীরে নতুন উর্দির আবরন
ডোরাকাটা বাঘছাল,
কোমরে বেল্ট

এ কোন র‍্যাডক্লিফ নয়,
এ নয় কোন ম্যাকমোহন
সমগ্র সমুদ্রতট জুড়ে আন্তঃপ্রজাতির
সংগ্রাম মানচিত্র

বেলাভুমিতে আমারই পুর্বপুরুষের পদচ্ছাপ
দ্রাঘিমা থেকে দ্রাঘিমায়
যোগ্যতমের উদবর্তনে মার্চ করতে গিয়ে দেখি
বুটে বুটে জড়িয়ে আছে


জলজ শ্যাওলা ।

১১ নভেম্বর ২০১৩ 
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি

Friday, November 29, 2013

আর প্রতিবাদী হাতটা


আর প্রতিবাদী হাতটা

চাঁদিফাটা ধুলোমাটি বুকে
বর্ষার আর্দ্র ছোঁয়া পড়েনি বহুদিন
শুধু বুটে বুটে সংঘর্ষে স্ফুলিংগ
ছুটে আসে
তলপেট থেকে বমি করা রক্ত-আগুন ।

এভাবেই যুদ্ধ শারীরিক
ব্যাটেল, ট্যাংকি,  বা কোন গুলি বারুদ ছাড়াই
রৌদ্রে ঝলসান মরুভুমির ঢেউখেলা বালিয়াড়ির বুকে
কোন যৌন ব্যাখ্যা ছাড়াই
নিরন্তর মুখ ঘষে নেওয়া

স্রোতবাহী পদাতিক সৈন্যদল কদমে কদম মিশিয়ে
মার্চ করে এসে থামে এক কাঁধ ভুমি সজ্জায়,
এমনই পিপাসিত দিনে যখন বুক বেয়ে
বয়ে যায় তরুনী অলকানন্দা
ট্রিগারে ট্রিগারে আঙুলগুলি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে
ব্যঞ্জনবর্ণগুলি
চেকপোস্টের ছায়া মেপে যায়

আর এই শালা প্রতিবাদী হাতটা
ট্রিগারকে দাবিয়ে রেখে
ক্রমশঃ হ্রস্ব হতে হতে

নিজেকে স্বরবর্ণেই গুটিয়ে রাখে ।

Tuesday, November 19, 2013

Beating Retreat

Beating Retreat

Where the line stops at the dot, 
We tread on the curve of straight courage
Installing a machine gun on bold shoulders, 
Grenades in italic hand
We do battle, 
We battle all the way.

The martyr 
Injects stream of life into fighting deaths 
Well wishers around
Experience series of secretion of blood in their heart, 
When the gun-powder spills over the bag-piper, 
The drum beats the retreat, then
We march with your chorus,
To tune your song.

When the music descend down to tired knees,
The guttural voice invites 
Eternal thirst of rhythm-less wine
What do we do between the lines ?  
We do battle,
We battle throughout the years.

বিদায়ী সঙ্গীত / পীযূষকান্তি বিশ্বাস

পংক্তি যখন ত্বরণ হারায় 
নশ্বর কবিতা থমকে দাঁড়ায়
কমা , দাড়িতে, ক্লান্ত দু-পায়
কি আর করি তখন
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ করে মন।

জীবন ঢেলেছে ভাড় মে মরণ
হিতৈষীর বুকে রক্ত ক্ষরণ
গিটারের রণণ মিলেছে রণে
তোমার কোরাসে আমার চরণ

গলা বুজে আসে বন্ধ হয় ভাষা
সূর উবে জাগে কন্ঠে পিপাসা
দুচোখে শুকায় স্বপ্ন আর আশা
শুকায় সঞ্জীবন

সংগীত যখন থমকে দাঁড়ায়,
সুরহীন সুরা দুহাত বাড়ায়
পিছন ঠেকিয়ে দেয়ালের গায়
কি আর করি তখন ?
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ করে মন।

----------- (ভাবানুবাদ)----------


https://www.facebook.com/softestpk/posts/10201547601505445

Friday, November 15, 2013

বুলেটের গতি



বুলেটের গতি


কানের পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া বুলেটের গতিতে
কোন রোমাঞ্চ বা প্রেম দেখি না
কিংবা এ সব লিখে কবি হওয়া যাবে কিনা জানি না,
কোন প্রকাশকের ঘরে আনবে অনেক টাকা
বলতে পারছি না।

‘গুড়ুম’ শব্দের কোন অর্থও হয় না
ওরা ক্যালকুলাসের লিমিট থেকেও হ্রস্ব হয়ে
পরিযায়ী পাখীর মত পর্বতের ওপারে
দিগন্তের রক্তরাঙা গোধুলি পার করে যায় ।

কিংবা
বাদামি ধোঁয়ায় আটকে থেকে
বন্দুকের নলের ভিতর গৃহবধুর মত স্বপ্ন-কারাবাস
ঔর্ধ্ব-দৈহিক প্রেমে নিমগ্ন একঘেয়ে যেন এক শয়নপ্রণালী,
এই সবে সম্পর্কে তেমন কোন টান টান বারুদ-বারুদ
গন্ধও নেই ।

ব্যতিক্রম শুধু
যখন ওরা, একদল দৌড়বাজ
অশ্বের ক্ষিপ্রতায় ছুটে বের হয় এক মেশিনগান থেকে,
দু কনুই মাটিতে গেঁড়ে,
টান টান তপ্ত লৌহ-জংঘা দুখানি বিছিয়ে দিয়ে
শীতল রণভুমির মাটিতে
পড়ে থাকে যৌন অতৃপ্ত রিক্ত ম্যাগাজিন...

এ সব ঠিক গুলি-বারুদ দিয়ে বোঝানো যাবে না
রক্ত দিয়েও না
শব্দ দিয়েও না

কিছু অর্ধদগ্ধ বাদামি ধোঁয়া , কিছু সালফার ডাই অক্সাইড
কিছুটা কার্বন
ওরা মিশে থাকে রণভুমির আকাশে
মিশে থাকে যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরা সান্ধ্য বাতাসে
ঘাড়ের পরে অহরহ
বেয়নটের জেগে থাকা নিঃশ্বাসে ।



১৮ ডিসেম্বর ২০১৩
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি

শুভ অপরাহ্ন


শুভ অপরাহ্ন

শুভ অপরাহ্ন


আকাশের ডাক ছিল দুর্বার
পায়ে মার্চ , মাইল পর মাইলে
পারদের ডাক ছিলো বাম ডান
সারি সারি র‍্যাংকও ফাইলে ।

ধনুকের ছিলা ছিল টান টান
ধুরন্ধর চাঁদমারি লক্ষ্য
অস্থায়ী কাজ নিয়র দগ্ধ
এ কাজে নয় সবাই দক্ষ ।

শষ্যের ক্ষেত ছিল স্ফুর্ত
রামধনু প্রজাপতি পাখা তার
প্রতিবেশী খামারে সে মজদুর
দুটি পায়ে খেটে খাওয়া সংসার ।

হাঁফ ছেড়ে বাকি হাফ যকৃৎ
ক্লান্তির দম ছাড়ে কদমে
প্রতিপদে ডাকছিল রামপাঞ্চ
আকন্ঠ মেদ জমে কলমে ।

দিনলিপি মুছে ফেলে রৌদ্র
মধ্যাহ্ন হতবাক তাকিয়ে
আঙুলের সৈন্যদল ক্ষিপ্র

দ্বিপ্রহর নামছে মাঠ কাঁপিয়ে ।

Thursday, November 7, 2013

ভয়


ভয়


এত রক্তের প্লাবন
ঘন লাল মৃত্যুদের তবুও সাবলীল সন্তরণ
অনায়াসে পার হয়ে যায় বৈতরণি ।

এই পাহাড়ের ফাটলে
একটি দুটি অক্ষরে, জড়া জড়ি করে
বাঁচিয়ে রেখেছি কবিতা-ইচ্ছে

গার্ডপোস্টেও ঝিমাই না পাছে চার্জসীট হয়ে যায়
শব্দেও মেশাই না কোন জল,
পাছে কখন যে কবিতা হয়ে যায় শিশু খাদ্য
রাত্রে বউকেও জাগাই না
পাছে কখন যে হানা মারে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স

দেওয়ালে দেওয়ালে ভূতের ছায়া
স্কন্ধকাঁটা, ব্রম্মদৈত্য, শাকচুন্নী

ভয়
কোমরে বেল্ট, গুঁজে বিশ রাউণ্ড কার্তুজ
ভাঙা মেরুদন্ডটা জুড়ে নিয়ে 'সাবধানে'  দাঁড়ায়

নাহ !

এবার আমি আগুনের মধ্য দিয়ে যাব ।




১০-১০-২০১৩
পালাম, নতুন দিল্লি

Thursday, October 31, 2013

সেকেন্ড ইনিংস



সেকেন্ড ইনিংস / পীযূষকান্তি বিশ্বাস

আজ কোনো গোলাবারুদ নয়, বোম্ব ব্লাস্ট নয়
এমন কি খেলনা পিস্তলের ফায়ারিং ও নয়
কোন শব্দ নয় আজ কোনো ।

যুদ্ধ শেষ
ঘরে ফেরার পথ
অবন্তীপুরের ধোঁয়ামাখা মেঘের পাহাড়ী খাদে
চৌচির হেলিকপ্টার...

ছুটিতেও ফেরা হল, কাঁধে, কফিনে
এ মরণকে তাই শহীদ বলে না ।

কোন শব্দ নেই আজ কোনো
যে সব শব্দে, বাক্যরা রূপক হয়                        
কিংবা যে সব শব্দেরা উপমা
তারা নাও হতে পারে কবিতা

তবু শব্দেরা আবার ঘুরে ফিরে আসে বাক্যে, কবির কলমে
উদগ্রীব হয়ে থাকে লেখনীর মুখে   ...

শুধু শহীদ হবার জন্য
মৃত্যুরা...
কোনো দ্বিতীয় সুযোগ দেয় না ।

Tuesday, October 29, 2013

ঢেউদের কথা

ঢেউদের কথা


নদী, তোর অনেক ফ্যান
দুপাশে ব্যস্ত জনপদ
কখনো গহীন খাদ,
কখনো ব্রীজের নিচে দিয়ে চলা তোর নিজস্ব চলন
কখনো ব্রীজের উপর শুনি তোর ঠক-ঠক হাই হিল !
ফেসবুকে তোর অনেক লাইক
তোর ঐ বেঁকে যাওয়া কোমরের আধা উষ্ণ খাঁজে
আধা গলা চীজ,
ডোমিনোজ্ পিৎজার ডো !
ওখানেই আটকে আছে ক্ষুধার্ত চোখের নিশানা ।

নদী, তোর অনেক ফ্যান,
নাহ্ ! আমি বরং আজ তোর গভীরের
ঘাটে ঘাটে খেটে খাওয়া পদাতিক ঢেউদের কথা লিখি
ছোট ছোট পায়ে kkhudroti khudra
ঢেউদের nirupay podocharona  ?

ক্ষুদ্র তবু দেখো
ওদের সমব্যথী প্রাণ,
হৃদয়ে শ্রেণীবদ্ধ ইচ্ছের উথাল পাথাল
বুকের সমতলে ওদের দলবেঁধে মার্চ
এক সাথে চেঁচিয়ে বলা এক দো এক, এক দো এক
এক ডিভিশন সৈন্য যেন কুচকাওয়াজ করে ....


ওরাও মার্চ করে,  সার বেঁধে যুদ্ধক্ষেত্রে যায়
ওরাও স্বপ্ন দেখে এক মহাযুদ্ধের গতি বেগ
অবিরাম স্রোতের গর্জনে
ওরা ক্যাম্প করে, ঘুমায়

ঢেউরাও অনুভব করে এক সাইন ওয়েভ
ওরা স্ট্রেয়েট নয় মোটেই,
ওরা একে ওপরের পিঠে চড়ে
শরীরের জ্বালা মেটায়...

ঢেউরা কি somokami ? কি জানি ...
যতটুকু জানি-
ওদের উৎস tO সে এক গর্ভবতী নদীর নাভিতে,

ঢেউদের কি কোনো হৃদয় ache ?
ওরা কি শুধু শারীরিক ?
nodi majhe ধেয়ে চলা 
শুধু লেফট রাইট, লেফট রাইট?


যখন রাত্রে জ্যোৎস্নার dol এসে
নদীর তীরে ese তাবু ফেলে যায়
চাঁদনী রাতের পাহারায়,
মধ্যরাতে দুলে ওঠe জেলেদের নৌকা
প্রাণে প্রাণেr dol lege তরঙ্গ অনুভব হয়,
শরীরের প্রতিটা রোমকূপে ,
বুকের প্রতিটা অলিন্দে
আমি যেন ঢেউ হয়ে যাই !

তীরে তীরে এইসব ঢেউদের মধ্যরাতে জেগে থাকা
হাওয়ার তাড়নায় সারারাত দুলতে থাকা শরীর
দুমড়ে মুচড়ে সুনামী হতে চায়
হাত বাড়িয়ে দেখি, চাriপাশ onor অন্ধকার,
নদী শুয়ে আছে শৈত্য প্রবাহে,
পঙ্কিল তন্দ্রায়,    
ঢেউয়ের ডাকে সাড়া দিতে তার
শুধু ঘুম পায়

শুধু ঘুম পায় ।

১৬ অক্টোবর ২০১৩
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি