Friday, November 15, 2013

বুলেটের গতি



বুলেটের গতি


কানের পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া বুলেটের গতিতে
কোন রোমাঞ্চ বা প্রেম দেখি না
কিংবা এ সব লিখে কবি হওয়া যাবে কিনা জানি না,
কোন প্রকাশকের ঘরে আনবে অনেক টাকা
বলতে পারছি না।

‘গুড়ুম’ শব্দের কোন অর্থও হয় না
ওরা ক্যালকুলাসের লিমিট থেকেও হ্রস্ব হয়ে
পরিযায়ী পাখীর মত পর্বতের ওপারে
দিগন্তের রক্তরাঙা গোধুলি পার করে যায় ।

কিংবা
বাদামি ধোঁয়ায় আটকে থেকে
বন্দুকের নলের ভিতর গৃহবধুর মত স্বপ্ন-কারাবাস
ঔর্ধ্ব-দৈহিক প্রেমে নিমগ্ন একঘেয়ে যেন এক শয়নপ্রণালী,
এই সবে সম্পর্কে তেমন কোন টান টান বারুদ-বারুদ
গন্ধও নেই ।

ব্যতিক্রম শুধু
যখন ওরা, একদল দৌড়বাজ
অশ্বের ক্ষিপ্রতায় ছুটে বের হয় এক মেশিনগান থেকে,
দু কনুই মাটিতে গেঁড়ে,
টান টান তপ্ত লৌহ-জংঘা দুখানি বিছিয়ে দিয়ে
শীতল রণভুমির মাটিতে
পড়ে থাকে যৌন অতৃপ্ত রিক্ত ম্যাগাজিন...

এ সব ঠিক গুলি-বারুদ দিয়ে বোঝানো যাবে না
রক্ত দিয়েও না
শব্দ দিয়েও না

কিছু অর্ধদগ্ধ বাদামি ধোঁয়া , কিছু সালফার ডাই অক্সাইড
কিছুটা কার্বন
ওরা মিশে থাকে রণভুমির আকাশে
মিশে থাকে যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরা সান্ধ্য বাতাসে
ঘাড়ের পরে অহরহ
বেয়নটের জেগে থাকা নিঃশ্বাসে ।



১৮ ডিসেম্বর ২০১৩
মহাবীর এনক্লেভ, নতুন দিল্লি

No comments:

Post a Comment