Monday, December 24, 2012

অ্যাটম বোম

অ্যাটম বোম

এক ঝাঁক তারা আর এক সন্ধ্যার অপেক্ষা
এক রাত ফুলশয্যার
লাভা উগরে উগরে ভর্তি করে দেব অ্যারোড্রোমের জরায়ু
ঘুম যায় ঐ চাঁদ মেঘ - পরীদের সাথে
কার বাঁশ কার হাতে
ধেনু চরে চেনাবের গিরিখাতে ।

একশো চুয়াল্লিশ ধারা এখানে                 
নিষিদ্ধ প্রমোদ ভ্রমণ
ভালো আছো কুমারী কুসুম মাতৃ জঠরে
ওখানেই ঘুমাও তুমি রক্তিম নক্ষত্র
পাছায় বারুদ ঘসে আমরা যারা বেরিয়েছি
কাছা বেঁধে গামছা, স্কন্ধে জাতীয় পতাকা
লেফট রাইট লেফট রাইট
সামাল সামাল রব উঠেছে তোর মনে সই, মোর মনে সই
কার কাঠি কার হাতে
দামামা বেজে চলেছে ঝিলাম উপত্যকায় ।

পরম শীৎকারে পৌঁছাবে উচ্চতম অর্গাজমে
পল্লবিত হবে প্রেমের মুকুল
যারা মার্চ করতে করতে দেখছিল এক চোখ ঘুমিয়ে নেবার
মধ্যাহ্নের আগেই শীতের কুয়াশা
বয়ে নিয়ে এল
তাঁদের সূর্যাস্তের প্যায়গাম ,
তেপান্তরের মাঠের উপর তখন
রক্তের ছিটায় আগাম গোধুলি
ঊর্ধগগণে বেজে চলেছে সহস্র মাদল, চল চল চল...
কার চাবুক কার হাতে
মশা মাছি মরে, বিতস্তার খানা খন্দে ।

আর থাকতে পারিনা
স্নেহ অতি বিষম বস্তু
কর্নেল স্পেশালে ফুটছে দেশপ্রেম
একচুল দূরে,  এক ইশারার ব্যবধানে...
বনমালীগো তুমি পরজনমে হইও রাধা

ঘোমটায় মুখ ঢেকে এক ঝাঁক তারাদের মাঝে
ঐ আসে পূর্ণ যৌবনা সন্ধ্যা
নিউকে নিউকে ফাটিয়ে দেব জরায়ু
লাভা উগরে উগরে বন্যা বহিয়ে দেব
তোমার নাভীতলদেশ, মহাদেশ
গর্ভবতী করে দেব তোমায় পৃথিবী
অক্ষৌহিনী মৃত সন্তানে ।

২ জুন, ১৯৯৯
এয়ারম্যান বিলেট

নং ৩ উইয়িং, পালাম

আমার কিছুই না

আমার কিছুই না

রাখ না চোখ দুটো খুলে
প্যান্টের পকেটে
যদি সামনে এসে দাঁড়ায় প্রেমিকার মুখ

লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে
বরফের খাঁজে বসে সুইট সিক্সটি নাইন
বাদামী ক্লিভেজের দিকে পিচকারি থেকে ছুটে আসে,
আগুনের গোলার পাহাড়ী রসায়ন
চুড়ান্ত পর্বের আদিম খেলা

“চার্জ......”
এই,  কে আসে ধেয়ে ?
দোস্ত ইয়া দুসমন ?
পাসওয়ার্ড বল , নয় ভাড়মে যাও ।

যদি দোস্ত,  তবে ফুলের রঙে রাঙিয়ে দেব তোর কানের দুল
যদি দুসমন,  কামানের গোলায় উড়িয়ে দেব লাল দুপাট্টা মলমল কা
আমি সিন্ধুর স্রোতের স্বচ্ছ ধারায় দেখতে পাই
তোমার জন্যই প্রেম
তোমার জন্যই ঘৃণা
আমার কিছুই না,  আমার কিছুই না

তবু,
সিরো-স্ট্রাটাসের আড়ালে আবডালে
নক্ষত্রেরও বে-জন্ম হয়
ছুটে যাওয়া গরম সীসার গতিবেগে
কি জানি কি আছে সৌন্দর্য
তারা প্রেম করে সম্পূর্ণ হয়
মাতৃভূমির মাটিতে ।

গঙ্গার বিস্তীর্ণ দুপারে অসংখ্য নক্ষত্রের ভিড়ে
ঘাটের কাছে যে সব বাষ্পসৈনিকেরা
খুঁজে চলেছে কবিতার ভাষা
কিউমুলো-নিম্বাসে ভিজিয়ে নিচ্ছে চোখের পাতা
বৃষ্টি নেমেছে আজ রণক্ষেত্র জুড়ে ,  জুড়িয়ে যায় চোখঃ   
আহাঃ , কী হৃদয় জুড়ানো বৃষ্টির আমেজ !       
শত শত বছর জুড়ে জেগে থাকা সেই সব পিপাসিত চোখে
আচানক যদি ভেঙ্গে আসে
অ্যাঁরোম্যাটিক আধো তরল ঘুম...

রাখ না চোখদুটো খুলে
উর্দির পকেটে
যদি সামনে এসে দাঁড়ায় বিবস্ত্র প্রেমিকার শরীর।

১০ এপ্রিল , ১৯৯৭
সতওয়ারী, জম্মু

Sunday, December 23, 2012

এ হৃদপিন্ডের কি করি

এ হৃদপিন্ডের কি করি // পীযূষকান্তি বিশ্বাস

এ হৃদপিন্ডের কি করি
যেখানে বুলেটের আগুনে পুড়ে পুড়ে বিষ কয়লা খুন
এক গাদা পুঁজ জমে জমে থকথকে কাদা ?
সেখানে
প্রেম ফুটে ফুটে হঠাৎই পংকজ ?


এখানে দুপুর হলে
আর ডি এক্সের বাদামি ধোঁয়ায়
কুয়াশা উত্তেজিত হয়ে ওঠে বাড়ে
দিগন্তে শিশ্ন ঠেকিয়ে বারোমাস দাঁড়িয়ে চেনার  
মোমবাতি চাঁদিয়াল ফেসে থাকে কিউমুলাস মেঘে ,
উলঙ্গ পাহাড়ের ফাঁকে ছিনিক ছিনিক
গিরিখাতে উপচে পড়ে শ্বেতকায় ফেনা ।

এ নেত্রের কী করি ?    
যেখানে পিঁচুটি বারুদের ধুলো
এক গাদা টি এন টি জমে জমে বালিয়াড়ি
সেখানে মৈথুন ইচ্ছা ? যৌণ জিজ্ঞাসা ?

টুরটুক থেকে ধেয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়ায়
তুষার - মরীচিকায় এ আমি কী দৃশ্য দেখি ?
ছাল্লি দুপাট্টায় মুখ ঢেকে
ইশারায় ডাকছে কোন পাহাড়ি যুবতী ?
গোধুলির গা থেকে চুয়ে চুয়ে পড়ছে
টুকরা টুকরা অনুভুতি !

এ হৃদপিন্ডের কি করি
যেখানে বুলেটের আগুনে পুড়ে পুড়ে কয়লা কয়লা খুন
এক গাদা পুঁজ জমে কাদাকাদা
সেখানে
প্রেম ফুটে ফুটে পংকজ ?

২২ মে, ১৯৯৭
সতওয়ারী, জম্মু