আমার কিছুই না
রাখ না চোখ দুটো খুলে
প্যান্টের পকেটে
যদি সামনে এসে দাঁড়ায় প্রেমিকার মুখ
লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে
বরফের খাঁজে বসে সুইট সিক্সটি নাইন
বাদামী ক্লিভেজের দিকে পিচকারি থেকে ছুটে আসে,
আগুনের গোলার পাহাড়ী রসায়ন
চুড়ান্ত পর্বের আদিম খেলা
“চার্জ......”
এই, কে আসে ধেয়ে ?
দোস্ত ইয়া দুসমন ?
পাসওয়ার্ড বল , নয় ভাড়মে যাও ।
যদি দোস্ত, তবে ফুলের রঙে রাঙিয়ে দেব তোর কানের দুল
যদি দুসমন, কামানের গোলায় উড়িয়ে দেব লাল দুপাট্টা মলমল কা
আমি সিন্ধুর স্রোতের স্বচ্ছ ধারায় দেখতে পাই
তোমার জন্যই প্রেম
তোমার জন্যই ঘৃণা
আমার কিছুই না, আমার কিছুই না
তবু,
সিরো-স্ট্রাটাসের আড়ালে আবডালে
নক্ষত্রেরও বে-জন্ম হয়
ছুটে যাওয়া গরম সীসার গতিবেগে
কি জানি কি আছে সৌন্দর্য
তারা প্রেম করে সম্পূর্ণ হয়
মাতৃভূমির মাটিতে ।
গঙ্গার বিস্তীর্ণ দুপারে অসংখ্য নক্ষত্রের ভিড়ে
ঘাটের কাছে যে সব বাষ্পসৈনিকেরা
খুঁজে চলেছে কবিতার ভাষা
কিউমুলো-নিম্বাসে ভিজিয়ে নিচ্ছে চোখের পাতা
বৃষ্টি নেমেছে আজ রণক্ষেত্র জুড়ে , জুড়িয়ে যায় চোখঃ
আহাঃ , কী হৃদয় জুড়ানো বৃষ্টির আমেজ !
শত শত বছর জুড়ে জেগে থাকা সেই সব পিপাসিত চোখে
আচানক যদি ভেঙ্গে আসে
অ্যাঁরোম্যাটিক আধো তরল ঘুম...
রাখ না চোখদুটো খুলে
উর্দির পকেটে
যদি সামনে এসে দাঁড়ায় বিবস্ত্র প্রেমিকার শরীর।
১০ এপ্রিল , ১৯৯৭
সতওয়ারী, জম্মু
No comments:
Post a Comment