সেই যে আমার নানা রঙের দিন গুলি
আমাকে কুড়িয়ে নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা, যখন আমার প্রথম প্রেম হল। আমিও হারিয়ে গেলাম অসংখ সৈন্যর ভীড়ে। সেই যে আমার পথ চলা, সেই যে আমার নানা রঙের দিন গুলি
Thursday, November 14, 2024
Wednesday, November 15, 2023
স্যালুট
স্যালুট
--পীযূষকান্তি বিশ্বাস
স্যালুট
--পীযূষকান্তি বিশ্বাস
সালামী সাস্ত্রে স্যালুট করলে
রাইফেলও দেখতে পায় এক আকাশ
চোখ বুলিয়ে দ্যাখো কারাকোরাম
তার গায়ে শরীর এলিয়ে দিয়ে ঝুঁকে থাকা
নত মস্তক পামীর মালভূমি ।
আমিই সেই যুদ্ধক্ষেত্রের একমাত্র বিজয়ী সৈনিক
শরীরজুড়ে আমার এক অদ্ভুত শীতলতা
একটা শক্ত ধাতব চট্টান অনুভব করছি ...
আর চোখদুটো কাঁপছে ঠিক সন্ত্রস্ত মানুষের মতো
পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি পৃথিবীর শীতলতম দিন
এই শূন্য প্রান্তরে আমি ছাড়া কেউ নেই...
কোথাও হটাৎ যেন কুচকাওয়াজ হচ্ছিল
ওখানে কিছু স্নোবুট
ওখানে কিছু মৃত সৈনিকের পায়ের শব্দ
রক্তরাঙা পতাকা উড়িয়ে
মার্চ করে হেঁটে আসছিলো একদল র্যাংক ও ফাইল
আচমকা লেফট টার্ন নিয়ে তারা
আমার সামনে বরাবর এসে দাঁড়ালো !
'সালামী সাস্ত্র' - তারা স্যালুট দিলো !
আমি তখনো অনুভব করছিলাম এক তৃপ্তমুহূর্ত
বুকে একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে
আমার রাইফেলে অবশিষ্ট শেষ তিনটি বুলেট
বুম বুম বুম ফায়ার করে
সেই সৈনিকের প্রতি আমি স্যালুট জানালাম ।
যুদ্ধ কবেই শেষ হয়ে গেছে
বিজয় পতাকার নীচে ঘুমিয়েছে শীতল উপত্যকা
রাইফেল হাতে নিয়ে কারাকোরামে
এখনো আমি তার সৈনিকসজ্জায় দাঁড়িয়ে
আমি তার তুষার রাজ্যের শেষ প্রহরী ।
Salute
--Pijush Biswas
When you salute in
salami shastra
The rifle can see the
other sky.
Look at Karakoram;
With leaning mass of
body
The great Pamir Plateau
lying beside.
As a sigh of
gratification,
You can indeed take a
full breath !
Surely, I'm not a
mountain;
Still a strange chill
all over the my body
I feel some metallic
rock in me...
My eyes are shivering as
human eyes
I can clearly sense the
coldest day of the earth
There's no one in the
void valley but me...
Let's hear the parade
somewhere
Some snowboots sound
there
The left right left of a
few dead soldiers.
Carrying the
blood-stained flag
They had been marching
on rank and file.
With a sharp
synchronized left turn
And they halted in front
of me.
Salami Shastra - I
looked at their salute !
At that moment I could
notice there was a sky
I could see the
flattened Pamir Plateau;
Felt my elated position
in the vicinity.
Having taken a deep
breath
The bullets blasted out
of my mouth !
As they looked like
three gun-shots,
I indeed saluted
someone.
Indeed, the war was over
a long time ago,
Chilled valley has been
sleeping under the hoisted flag.
With a rifle in hand
with uniform on
I am the last guard of
it's frozen kingdom.
Brief
Biodata:
Pijush
Kanti Biswas is a Bengali poet from Delhi. Born 1975 in Hat Bahirgachi,
District Nadia, West Bengal, India. Father Jnanendra Nath Biswas Bhavgan singer
and lyricist. He joined the Indian Air Force at the age of 17. He wrote poems
on army life and those are published various Bengali little magazine published
from New Delhi and Kolkata. Some poems of that time are available in various
blogs and web magazines. In 1998, started living in Palam and Mahavir Enclave
area in New Delhi. Here he started to contribute to Bengali literature through
the little magazine 'Kathanjali' published from Delhi. He published his book
'Badha Noi Rokto' in 2008 in Mahavir Enclave, New Delhi. In 2014, his second
book of poetry 'Ghumghar' was published at the Delhi Book Fair, publisher was
Delhi Haaters. In 2016, his third book of poetry was titled as 'Akash Chumban'
and published by Abhijan Publishers from Kolkata. Apart from writing poetry,
Pijush Kanti Biswas writes free prose, book reviews, stories on various blogs
in Bengali literature. He has managed and oversighted two bengali little
magazines called 'Kathanjali' and 'Pratibha Pathikrit'. As an editor, he has
edited 'Shunyakal' web magazine. With support from poets of Delhi,in 2017 he
started editing the magazine 'Dehlij' to promote bengali literature of Delhi
NCR.
পীযূষ
কান্তি বিশ্বাস দিল্লির একজন বাঙালি কবি। জন্ম ১৯৭৫ সালে হাট বাহিরগাছি, জেলা নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে। পিতা
জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ভাবগান গায়ক ও গীতিকার। তিনি ১৭ বছর বয়সে ভারতীয় বিমান
বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি সেনাবাহিনীর জীবনের উপর কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলি নতুন
দিল্লি এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাংলা লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে পালাম ও মহাবীর
এনক্লেভ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। এখানে তিনি দিল্লি থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন
'কথাঞ্জলি'র মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে
অবদান রাখতে শুরু করেন। তিনি ২০০৮ সালে মহাবীর এনক্লেভ, নয়াদিল্লিতে তাঁর 'বাধা নয় রক্ত' বইটি প্রকাশ করেন । ২০১৪
সালে,
দিল্লি
বইমেলায় তার দ্বিতীয় কবিতার বই 'ঘুমঘর' প্রকাশিত হয়, প্রকাশক দিল্লি হাটার্স । ২০১৬ সালে, তার তৃতীয় কবিতার বইটির
নাম ছিল 'আকাশ চুম্বন' এবং কলকাতা থেকে অভিজন
পাবলিশার্স প্রকাশিত হয়েছিল। পীযূষ কান্তি বিশ্বাস কবিতা লেখার পাশাপাশি বাংলা
সাহিত্যে ব্যক্তিগত গদ্য,
বইয়ের
রিভিউ,
বিভিন্ন
ব্লগে গল্প লেখেন। তিনি দিল্লি থেকে 'কথাঞ্জলি' এবং 'প্রতিভা পথিকৃৎ' নামে দুটি বাংলা লিটল ম্যাগাজিন পরিচালনা ও তদারকি
করেছেন। সম্পাদক হিসেবে তিনি সম্পাদনা করেছেন 'শূন্যকাল' ওয়েব ম্যাগাজিন। দিল্লির কবিদের সহায়তায় তিনি
দিল্লি এনসিআর-এর বাংলা সাহিত্যের প্রচারের জন্য ২০১৭ সালে 'দেহলিজ'পত্রিকার প্রতিষ্ঠা
সম্পাদনা শুরু করেন।
Friday, March 25, 2022
সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা
পীযূষকান্তি বিশ্বাস । জন্ম ১৯৭৫ হাট বহিরগাছি, জেলা নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত । পিতা জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ভাবগান গায়ক । মাতা, করুণাময়ী বিশ্বাস । কবি পীযূষকান্তি বিশ্বাস স্কুল জীবনে লেখালেখি করলেও সেই সমস্ত কাজ আজ সংগ্রহে নেই । ১৯৯২ সালে তিনি রাণাঘাট কলেজ থেকে ১২ ক্লাস পাশ করার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন । সেই সময়কার কিছু কবিতা বিভিন্ন ব্লগে পাওয়া যায় । ১৯৯৮ সালে তিনি দিল্লিতে পোস্টিং নিয়ে আসেন . এখান থেকে প্রকাশিত 'কথাঞ্জলী' পত্রিকার মাধ্যমে তার পরবর্তী জীবনের কবিতা যাপন শুরু হয় । ২০১৪ এ দিল্লি হাটার্সের সম্পাদক দিলীপ ফৌজদারের সহায়তায় তার প্রথম কবিতার বই 'ঘুমঘর' দিল্লির বইমেলায় প্রকাশিত হয় । ২০১৬ তে তার দ্বিতীয় কবিতা গ্রন্থটি 'আকাশ চুম্বন' নামে কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স প্রকাশ করেন । কবিতা লেখা ছাড়া, পীযূষকান্তি বিশ্বাস বাংলা সাহিত্য পরিসরে, বিভিন্ন ব্লগে ও সোস্যাল মিডিয়ায় কবিতা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে থাকেন । এ ছাড়া, সম্পাদক হিসাবে তিনি সম্পাদনা করেছেন 'শূন্যকাল' ওয়েব ম্যাগাজিন । বর্তমানে দেহলিজের সম্পাদনা ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে কবি পীযূষকান্তি বিশ্বাস ।
কবি পরিচিতি
পীযূষকান্তি বিশ্বাস দিল্লির বাঙালী কবি । জন্ম ১৯৭৫, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত । স্কুল জীবনে লেখালেখি করলেও সেই কাজ সংগ্রহ করা নেই ।স্কুল শেষ হতে না হতেই ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন । সেই সময়কার কিছু কবিতা পাওয়া যায় যেগুলো তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টিং
থাকাকালীন লিখেছিলেন । ১৯৯৮ সালে তিনি দিল্লিতে পোস্টিং নিয়ে আসেন এবং কার্গিল যুদ্ধে তিনি বিমানবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন । আর্মি জীবনের কিছু অলেখা কথা তার কবিতায় বিশেষ ভাবে স্থান পায় । তখন দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কথাঞ্জলী' প্রত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন । ২০০৫ সালে কদম বদল । বিমানবাহিনী ছেড়ে দিয়ে সফটওয়ার ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে মাল্টিন্যাশনালে যোগদান করেন । নিয়মিত লেখালেখি ২০১০ এর পরেই । ২০১৪ এ তার প্রথম কবিতার বই 'ঘুমঘর' দিল্লির বইমেলায় দূরত্ব পাব্লিকেশ থেকে প্রকাশিত হয় । বইটি কবিবন্ধুদের মধ্যে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয় । তার দ্বিতীয় বইটি 'আকাশ চুম্বন' ২০১৫ কলকাতা বইমেলায় অভিযান পাব্লিশার্স থেকে বের হয় । এ ছাড়া 'বাঁধা নয় রক্ত' একটি বই 'ই-বুক' হিসাবে পাওয়া যায় । বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত দিগঙ্গন পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীতে আছেন ।
Tuesday, August 4, 2015
বায়োডাটা -২
কবি পরিচিতি
পীযূষকান্তি বিশ্বাস দিল্লির বাঙালী কবি । জন্ম ১৯৭৫, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত । স্কুল জীবনে লেখালেখি করলেও সেই কাজ সংগ্রহ করা নেই ।স্কুল শেষ হতে না হতেই ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন । সেই সময়কার কিছু কবিতা পাওয়া যায় যেগুলো তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টিং
থাকাকালীন লিখেছিলেন । ১৯৯৮ সালে তিনি দিল্লিতে পোস্টিং নিয়ে আসেন এবং কার্গিল যুদ্ধে তিনি বিমানবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন । আর্মি জীবনের কিছু অলেখা কথা তার কবিতায় বিশেষ ভাবে স্থান পায় । তখন দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কথাঞ্জলী' প্রত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন । ২০০৫ সালে কদম বদল । বিমানবাহিনী ছেড়ে দিয়ে সফটওয়ার ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে মাল্টিন্যাশনালে যোগদান করেন । নিয়মিত লেখালেখি ২০১০ এর পরেই । ২০১৪ এ তার প্রথম কবিতার বই 'ঘুমঘর' দিল্লির বইমেলায় দূরত্ব পাব্লিকেশ থেকে প্রকাশিত হয় । বইটি কবিবন্ধুদের মধ্যে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয় । তার দ্বিতীয় বইটি 'আকাশ চুম্বন' ২০১৫ কলকাতা বইমেলায় অভিযান পাব্লিশার্স থেকে বের হয় । এ ছাড়া 'বাঁধা নয় রক্ত' একটি বই 'ই-বুক' হিসাবে পাওয়া যায় । বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত দিগঙ্গন পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীতে আছেন ।